Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বাংলার তাজমহল
স্থান

পেরাব বাজার, জামপুর ইউনিয়ন

কিভাবে যাওয়া যায়

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট থেকে সিএনজি/ রিক্সা যোগে মহজমপুর বাজার থেকে কিছুদুর পরই তাজমহল। ভাড়ার হার ৫০-৬০ টাকা। (জনপ্রতি সিএনজি যোগে) ভাড়ার হার ৬০-৭০ টাকা। (রিক্সা যোগে।

যোগাযোগ

০১৯৬৬-২৩৮৮৯৪

বিস্তারিত

তাজমহল বাংলাদেশ হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে পেরাব, সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত প্রকৃত তাজমহল (ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি মুঘল নিদর্শন) এর একটি হুবহু নকল বা অবিকল প্রতিরূপ। তাজমহল বাংলাদেশের মালিক আহসানুল্লাহ মনি একজন ধনবান চলচ্চিত্র নির্মাতা ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তার 'তাজমহলের কপিক্যাট সংস্করণ' প্রকল্পের ঘোষণা করেন। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা এবং এটি রাজধানী ঢাকা ২০ মাইল উত্তর পূর্বে সোনারগাঁওয়ের পেরাবে নির্মিত হয়। এটি নির্মাণের কারণ হিসেবে তিনি জানান “এই তাজমহলের রেপ্লিকাটি তৈরি করা হয়েছে যেন তার দেশের দরিদ্র মানুষ, যাদের ভারত গিয়ে প্রকৃত নিদর্শন দেখার সামর্থ্য নেই তারা যেন তাজমহল দেখার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন নিজের দেশে থেকেই”।[১]

তাজমহলের এই অবিকল প্রতিরূপ সৃষ্টির ঘটনায় ভারত ক্ষুব্ধ হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয় আহসানুল্লাহ মনিকে প্রকৃত তাজমহলের (৩০০ বছরের ও বেশি পুরোনো) মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে।[২]

২০০৩ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়, তবে মনি বলেন যে তিনি ১৯৮০ সালে ভারতের আগ্রায় সত্যিকারের তাজ পরিদর্শন করার সময় তার মাথায় এই ধারণাটি এসেছিলেন। তিনি বলেন যে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে , তাঁদের আসল জিনিসটি দেখার জন্য ভারতে ভ্রমণের সামর্থ্য নেই। "সবাই তাজমহল দেখার স্বপ্ন দেখে তবে খুব কম সংখ্যক বাংলাদেশী ভ্রমণ করতে পারে, কারণ তাদের পক্ষে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল"। মনি ১৯৮০ সালে তাজমহল দেখেন ও পরে আরো ৬ বার দেখেন। তিনি এর উপর এতটাই মোহিত হয়েছিলেন যে তিনি একদল স্থপতি নিয়োগ করেন এবং তাজ মহলের আকার মাপের জন্য তাদের ভারতে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন: “আমি মূল তাজের মত একই মার্বেল এবং পাথর ব্যবহার করেছি। আমরা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছি, এজন্য সময় কম লেগেছে। তা না হলে এটি সম্পন্ন করতে ২০ বছর এবং ২২,০০০ শ্রমিক লাগত ”